বর্তমানে বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে? বিস্তারিত জানুন

Navoblog
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে

বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশে চাকরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে চাইলে বিসিএস পাস করা একটা বড় লক্ষ্য। বর্তমানে বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে এই প্রশ্নের উত্তর অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। আজ আমরা সহজ ভাষায় জানবো, কত পয়েন্টে বিসিএস ক্যাডার হওয়া সম্ভব, এবং কীভাবে আপনি নিজের প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করতে পারেন। চলুন শুরু করি!

বিসিএস পরীক্ষার বর্তমান প্রেক্ষাপ

বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়ে গেছে। প্রতিবছর লক্ষাধিক শিক্ষার্থী আবেদন করে, কিন্তু ক্যাডার হওয়ার সুযোগ পায় মাত্র কিছুজন।ৎতিনটি ধাপে বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা। প্রত্যেক ধাপেই নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে, যা পাস করতে হলে নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন জরুরি।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে কত পয়েন্ট লাগে

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট নম্বর থাকে ২০০। বর্তমানে বিসিএস প্রিলিমিনারি পাস মার্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০-এর আশেপাশে। অর্থাৎ, ২০০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ১১০-১১৫ পেতে হয় প্রিলি পাশের জন্য। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে পাস মার্ক ছিল প্রায় ১১৫। তবে এটা নির্ভর করে প্রশ্নের মান এবং পরীক্ষার্থীর সামগ্রিক পারফরম্যান্সের উপর।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাশের জন্য কত পয়েন্ট দরকার

লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বর সাধারণত ৯০০ থেকে ১০০০ এর মধ্যে হয়, বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রত্যেক বিষয়ে আলাদাভাবে ন্যূনতম ৫০% মার্ক পেতে হয় পাস করার জন্য। উদাহরণস্বরূপ, বাংলা বা ইংরেজি কম্পোজিশনে যদি মোট নম্বর ২০০ হয়, তাহলে পাস করতে ১০০ নাম্বার বাধ্যতামূলক। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ক্যাডার নির্ধারণের ক্ষেত্রে।

ভাইভা পরীক্ষায় সফলতার জন্য কত পয়েন্ট লাগে

ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষায় মোট নম্বর হয় ২০০। সাধারণত ৫০% বা তার বেশি স্কোর করলে উত্তীর্ণ হিসেবে ধরা হয়। ভাইভায় প্রশ্ন করা হয় সাধারণ জ্ঞান, নিজের সাবজেক্ট, এবং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে।য়ভালোভাবে কমিউনিকেশন স্কিল ও আত্মবিশ্বাস দেখাতে পারলে ভাইভাতে ভালো মার্ক পাওয়া সহজ হয়।

বর্তমানে বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে: সম্পূর্ণ চিত্র

প্রিলি + লিখিত + ভাইভা এই তিনটি ধাপের মোট নাম্বার দিয়ে চূড়ান্ত মেধা তালিকা তৈরি হয়। চূড়ান্তভাবে ক্যাডার পেতে হলে সাধারণত মোট নম্বরের ৫৫-৬০% অর্জন করতে হয়। উদাহরণ হিসেবে, যদি প্রিলি + লিখিত + ভাইভা মিলিয়ে মোট ১২০০ নাম্বার হয়, তাহলে কমপক্ষে ৬৫০-৭০০ পেতে হবে ক্যাডার নিশ্চিত করতে। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ক্যাডারের জন্য প্রয়োজনীয় পয়েন্টের সীমা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।

বিসিএস ক্যাডার নির্বাচনের পয়েন্ট রেঞ্জ

প্রশাসন, পররাষ্ট্র বা পুলিশ ক্যাডারের জন্য স্কোর তুলনামূলক বেশি লাগে, প্রায় ৬৫% বা তারও বেশি। শিক্ষা বা টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য কিছুটা কম স্কোরে ক্যাডার হওয়া যায়  প্রায় ৫৫-৬০%। তবে মনে রাখতে হবে, ভালো স্কোরই ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

বিসিএস স্কোর ক্যালকুলেশন: বাস্তব উদাহরণ

ধরা যাক, একজন পরীক্ষার্থী প্রিলিমিনারিতে ১২০ পেলেন, লিখিতে ৫৫০ এবং ভাইভাতে ১৩০। তাহলে মোট নম্বর দাঁড়াবে ১২০ + ৫৫০ + ১৩০ = ৮০০।এখন যদি মোট পরীক্ষার নাম্বার হয় ১২০০, তাহলে ৮০০/১২০০ = ৬৬.৬৬% স্কোর করেছেন। এই রেজাল্টের মাধ্যমে প্রশাসন, পুলিশ, বা পররাষ্ট্র ক্যাডার পাওয়া সম্ভব।

পয়েন্ট বাড়াতে করণীয় টিপস

  • সময় ম্যানেজমেন্ট ভালো করতে হবে।
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে স্টাডি করা জরুরি।
  • মক টেস্ট নিয়মিত দিতে হবে।
  • নিজের দুর্বল বিষয়গুলিতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
  • নোট তৈরি করে পড়লে মনে রাখা সহজ হয়।
  • ভালো মানের গাইড বই ও বিগত বছরের প্রশ্ন অনুশীলন করতে হবে।
  • আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বিসিএস পরীক্ষার নম্বর বিভাজন: সংক্ষেপে জানুন

  • প্রিলিমিনারি ২০০ নাম্বার।
  • লিখিত  প্রায় ৯০০-১০০০ নাম্বার।
  • ভাইভা  ২০০ নাম্বার।
  • সব ধাপ মিলিয়ে তৈরি হয় চূড়ান্ত মেধাক্রম।

আমার শেষ কথা 

বর্তমানে বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে। এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো, কঠোর অধ্যবসায় আর স্মার্ট স্টাডির মাধ্যমে নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করা। প্রতিযোগিতা বাড়লেও, পরিকল্পিত প্রস্তুতিতে ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন সহজেই বাস্তবে রূপ নেয়। আজ থেকেই পরিকল্পনা শুরু করুন। আপনার বিসিএসের যাত্রা হোক সাফল্যময়।

গুড়া কৃমি হওয়ার কারণ কি? বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বর্তমানে বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে? বিস্তারিত জানুন

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে চাকরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে চাইলে বিসিএস পাস করা একটা বড় লক্ষ্য। বর্তমানে বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে এই প্রশ্নের উত্তর অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। আজ আমরা সহজ ভাষায় জানবো, কত পয়েন্টে বিসিএস ক্যাডার হওয়া সম্ভব, এবং কীভাবে আপনি নিজের প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করতে পারেন। চলুন শুরু করি!

বিসিএস পরীক্ষার বর্তমান প্রেক্ষাপ

বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়ে গেছে। প্রতিবছর লক্ষাধিক শিক্ষার্থী আবেদন করে, কিন্তু ক্যাডার হওয়ার সুযোগ পায় মাত্র কিছুজন।ৎতিনটি ধাপে বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা। প্রত্যেক ধাপেই নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে, যা পাস করতে হলে নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন জরুরি।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে কত পয়েন্ট লাগে

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট নম্বর থাকে ২০০। বর্তমানে বিসিএস প্রিলিমিনারি পাস মার্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০-এর আশেপাশে। অর্থাৎ, ২০০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ১১০-১১৫ পেতে হয় প্রিলি পাশের জন্য। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে পাস মার্ক ছিল প্রায় ১১৫। তবে এটা নির্ভর করে প্রশ্নের মান এবং পরীক্ষার্থীর সামগ্রিক পারফরম্যান্সের উপর।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাশের জন্য কত পয়েন্ট দরকার

লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বর সাধারণত ৯০০ থেকে ১০০০ এর মধ্যে হয়, বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রত্যেক বিষয়ে আলাদাভাবে ন্যূনতম ৫০% মার্ক পেতে হয় পাস করার জন্য। উদাহরণস্বরূপ, বাংলা বা ইংরেজি কম্পোজিশনে যদি মোট নম্বর ২০০ হয়, তাহলে পাস করতে ১০০ নাম্বার বাধ্যতামূলক। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ক্যাডার নির্ধারণের ক্ষেত্রে।

ভাইভা পরীক্ষায় সফলতার জন্য কত পয়েন্ট লাগে

ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষায় মোট নম্বর হয় ২০০। সাধারণত ৫০% বা তার বেশি স্কোর করলে উত্তীর্ণ হিসেবে ধরা হয়। ভাইভায় প্রশ্ন করা হয় সাধারণ জ্ঞান, নিজের সাবজেক্ট, এবং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে।য়ভালোভাবে কমিউনিকেশন স্কিল ও আত্মবিশ্বাস দেখাতে পারলে ভাইভাতে ভালো মার্ক পাওয়া সহজ হয়।

বর্তমানে বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে: সম্পূর্ণ চিত্র

প্রিলি + লিখিত + ভাইভা এই তিনটি ধাপের মোট নাম্বার দিয়ে চূড়ান্ত মেধা তালিকা তৈরি হয়। চূড়ান্তভাবে ক্যাডার পেতে হলে সাধারণত মোট নম্বরের ৫৫-৬০% অর্জন করতে হয়। উদাহরণ হিসেবে, যদি প্রিলি + লিখিত + ভাইভা মিলিয়ে মোট ১২০০ নাম্বার হয়, তাহলে কমপক্ষে ৬৫০-৭০০ পেতে হবে ক্যাডার নিশ্চিত করতে। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ক্যাডারের জন্য প্রয়োজনীয় পয়েন্টের সীমা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।

বিসিএস ক্যাডার নির্বাচনের পয়েন্ট রেঞ্জ

প্রশাসন, পররাষ্ট্র বা পুলিশ ক্যাডারের জন্য স্কোর তুলনামূলক বেশি লাগে, প্রায় ৬৫% বা তারও বেশি। শিক্ষা বা টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য কিছুটা কম স্কোরে ক্যাডার হওয়া যায়  প্রায় ৫৫-৬০%। তবে মনে রাখতে হবে, ভালো স্কোরই ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

বিসিএস স্কোর ক্যালকুলেশন: বাস্তব উদাহরণ

ধরা যাক, একজন পরীক্ষার্থী প্রিলিমিনারিতে ১২০ পেলেন, লিখিতে ৫৫০ এবং ভাইভাতে ১৩০। তাহলে মোট নম্বর দাঁড়াবে ১২০ + ৫৫০ + ১৩০ = ৮০০।এখন যদি মোট পরীক্ষার নাম্বার হয় ১২০০, তাহলে ৮০০/১২০০ = ৬৬.৬৬% স্কোর করেছেন। এই রেজাল্টের মাধ্যমে প্রশাসন, পুলিশ, বা পররাষ্ট্র ক্যাডার পাওয়া সম্ভব।

পয়েন্ট বাড়াতে করণীয় টিপস

  • সময় ম্যানেজমেন্ট ভালো করতে হবে।
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে স্টাডি করা জরুরি।
  • মক টেস্ট নিয়মিত দিতে হবে।
  • নিজের দুর্বল বিষয়গুলিতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
  • নোট তৈরি করে পড়লে মনে রাখা সহজ হয়।
  • ভালো মানের গাইড বই ও বিগত বছরের প্রশ্ন অনুশীলন করতে হবে।
  • আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বিসিএস পরীক্ষার নম্বর বিভাজন: সংক্ষেপে জানুন

  • প্রিলিমিনারি ২০০ নাম্বার।
  • লিখিত  প্রায় ৯০০-১০০০ নাম্বার।
  • ভাইভা  ২০০ নাম্বার।
  • সব ধাপ মিলিয়ে তৈরি হয় চূড়ান্ত মেধাক্রম।

আমার শেষ কথা 

বর্তমানে বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে। এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো, কঠোর অধ্যবসায় আর স্মার্ট স্টাডির মাধ্যমে নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করা। প্রতিযোগিতা বাড়লেও, পরিকল্পিত প্রস্তুতিতে ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন সহজেই বাস্তবে রূপ নেয়। আজ থেকেই পরিকল্পনা শুরু করুন। আপনার বিসিএসের যাত্রা হোক সাফল্যময়।

গুড়া কৃমি হওয়ার কারণ কি? বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে যান।