২০২৫ সালে প্যাকেটের কোন দুধ ভালো এবং প্যাকেটের দুধ খেলে কি হয় জেনে নিন

- আপডেট সময় : ১০:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুধ। বাচ্চাদের খাবার তৈরি, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় রেসিপি, চা, কফি ইত্যাদি তৈরির জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় এটি। তবে আপনি কি জানেন ২০২৫ সালে প্যাকেটের কোন দুধ ভালো এবং প্যাকেটের দুধ খেলে কি হয়? খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে আমাদের বাড়তি সতর্কতা খুবই জরুরী। তা না হলে দীর্ঘ মেয়াদে এই ধরনের অভ্যাসগুলো থেকে তৈরি হতে পারে নানা ধরনের রোগ। তাইতো সুস্থ থাকার জন্য জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হয়।
বাজারে প্যাকেটের দুধগুলো বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়। এর মধ্যেও কিছু কিছু রয়েছে কাঁচা দুধ আবার কিছু কিছু রয়েছে গুঁড়ো দুধ। এ সকল পণ্য কতটা নিয়ম মেনে সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটি না জেনে কখনোই খাওয়া উচিত নয়। পাউডার দুধের মধ্যে আবার তিন ধরণ রয়েছে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে টোনড, ডাবল টোনড এবং ফুল ক্রিম মিল্ক। সাধারণ প্যাকেটজাত পাউডারের দুধে তেমন কোনো পুষ্টিগুণ থাকে না। তবে বাজারে এ ধরনের পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। আবার প্লাস্টিকের প্যাকেটে দুধ সংরক্ষণ করতে এতে মেশানো হচ্ছে নানা প্রকারের মেডিসিন।
আবার এসকল প্রসেস দ্রব্য সাধারণত নির্ধারিত তাপমাত্রায় ১৫ সেকেন্ড ফুটানো হয়। তারপর সেটি প্যাকেটে ভরে দেওয়া হয়। এতে করে কিছু পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া বিনষ্ট হলেও পুরোপুরি ভাবে নির্মূল হয় না। তাই কিনা আগে ভালো কোম্পানির দুধ যাচাই করে নেওয়া জরুরি।
বাজারে প্যাকেটের কোন দুধ ভালো
পুষ্টিবিদদের মতে টেট্টা প্যাকেটোর দুধ সবচাইতে সুরক্ষিত। কারণ এ প্রক্রিয়ায় দুধকে খুবই উচ্চ তাপমাত্রায় ভালোভাবে ফোটানো হয়। এ তাপমাত্রা হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫৩ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। যখন দুধ ভালো ভাবে ফোটে ঠিক তখনই একে প্যাকেটে দেওয়া হয়। এই দূর ভালো কারণ এত উচ্চ তাপমাত্রায় ফোটানোর ফলে কোন ধরনের জীবাণু থাকে না। তাই বলা যায় পুরোপুরি ভাবে বিশুদ্ধ হয় এটি। তাই আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার বাজার থেকে টেট্রা ব্যাগ দুধ কিনে আনতে পারেন।
অন্যান্য প্যাকেটজাত দুধের মধ্যেও তুলনা
আপনি যদি বাজারের কোন প্যাকেটের দুধ ভালো সেগুলোর তুলনা করতে চান তাহলেও পাউচের মধ্যে অবশ্যই টেট্রা প্যাক এগিয়ে থাকবে। কিন্তু পাউচ ও টেট্রার তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হয়। আবার এটি ফ্রিজের সংরক্ষণ করতে হয়। যদি বাজার থেকে পাউচের প্যাকেট দুধ কিনে এনে ফ্রিজে না রাখেন তাহলে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই দূরের রাস্তা কিংবা ফ্রিজের সুবিধা না থাকলে টেট্টার প্যাক দুধ কিনা সেটি বাড়িতে সংরক্ষণ না করাই ভালো।
প্যাকেটের দুধ খেলে কি হয়
বাজার থেকে কিনে আনা এ সকল খাদ্যদ্রব্য সাধারন ভাবে আমাদের দেহের কোন ক্ষতি করে না। বরং গুণগত মানুষ সম্ভবত প্রতিষ্ঠানের এসকল খাবার আমাদের জন্য নিরাপদ। সেই সাথে যাদের খাটের গুরুর দুধ কিংবা খামার নেই তাদের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য এর সকল খাবার আমাদের গ্রহণ করা উচিত। এটি তখনি আপনার দেহের ক্ষতি করবে যখন সঠিকভাবে প্যাকেট যত করা হবে না। ঠিক একইভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ কিনা সেটাও দেখা প্রয়োজন।
প্যাকেট যত দুধের উপকারিতা কি
সাধারণত পাস্তরিত করে দুধকে প্যাকেটে ভরা হয়। যার কারণে সকল প্রকার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায় এবং এটিকে নিরাপদ করে তোলে। প্যাকেটের কোন দুধ ভালো সেটা জানার পর বাজার থেকে খুব সহজেই এটি কিনতে পারা যায়। যার কারণে কমে যায় বাড়তি পরিশ্রম এবং অর্থ।
প্যাকেট যত দুধের অপকারিতা
যদি সঠিকভাবে এটিকে প্রসেস না করা হয় তাহলে আমাদের হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে লিকুইড দুধ বাজার থেকে কেনার পর ফুটিয়ে খেলে সেই সম্ভাবনাও কিছুটা কমে যায়। আর যেহেতু এটি প্রসেসিং করা হয় তাই কিছু পরিমাণে পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। আশা করি আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন প্যাকেটের দুধ খেলে কি হয়।
অনেকেই আবার এটি প্রশ্ন করে থাকেন যে এই ধরনের দুধ বাসায় এনে ফুটাতে হবে কিনা। বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদদের মতে আপনি যদি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রায় ১০ মিনিট ধরে এই ধরনের দুধ ফুটিয়ে থাকেন তাহলে ভিটামিন ডি সহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ গুলি নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি গরম করলে সকল ভিটামিন ও নানা উপাদান প্রায় ২৫ পার্সেন্ট হ্রাস পায়।
কোন কোন ক্ষেত্রে সাধারণ পরিবর্তন আনতে পারে। তাই ভালো কোম্পানির এবং গুণগত মান সম্পন্ন প্যাকেটের দুধ আপনি না ফুটিয়েও খেতে পারবেন আবার ফুটিয়েও খেতে পারবেন। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাজার থেকে কিনে আনা মিল্কগুলো খাওয়ানোর আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এর কারণ হচ্ছে শিশুদের বয়স শারীরিক গঠন ইত্যাদি ভেদে বিভিন্ন মানের ডাক্তাররা সাজেশন দিয়ে থাকেন।