আল মাহমুদের ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় প্রকৃতি ও মানুষের নিবিড় সম্পর্ক ফুটে উঠেছে। কবি এখানে নিসর্গপ্রেমের মাধ্যমে পাঠকের মধ্যে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও মমত্ববোধ জাগ্রত করতে চান। পাহাড়, নদী, ফুল, পাখি ও জোনাকি—সব মিলিয়ে কবি প্রকৃতিকে মানুষের সখা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। কবিতায় প্রতিটি দৃশ্য পাঠককে কল্পনাময় জগতে নিয়ে যায় এবং শিশু ও বয়স্ক সকলের মধ্যে প্রকৃতি ও জীবজগতের প্রতি গভীর ভালোবাসার বীজ বুনে।
পাখির কাছে ফুলের কাছে – ৫০+ MCQ
১) ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতায় কবি কাকে মানুষের বন্ধু বা সখা হিসেবে দেখিয়েছেন?
ক) শিশুদের খ) প্রকৃতি গ) শহর ঘ) খোলা আকাশ
২) কবিতায় কোনটি গোল ও ঠান্ডা হিসেবে বর্ণিত হয়েছে?
ক) ডাব খ) চাঁদ গ) ফুল ঘ) পাহাড়
৩) কবিতায় মিনারকে কীভাবে দেখানো হয়েছে?
ক) কেউ দাঁড়িয়ে আছে মনে হয় খ) গাছের মতো গ) নদীর মতো ঘ) পাখির মতো
৪) পাথরঘাটার গির্জেটিকে কবি কী বলে তুলনা করেছেন?
ক) লাল পাথরের ঢেউ খ) নদীর জল গ) পাহাড় ঘ) আকাশ
৫) কবিতায় উটকো পাহাড় কীভাবে ডাক দিয়েছে?
ক) আয় আয় খ) চল গ) উড় ঘ) নাচ
৬) জোনাকি কোথায় বসেছে?
ক) দরবারে খ) ঘরে গ) পাহাড়ে ঘ) নদীতে
৭) দিঘির জল কী বলেছে কবিকে?
ক) এসো, আমরা সবাই না-ঘুমানোর দল খ) চলে যাও গ) ঘুমাও ঘ) দূরে থাক
৮) কবি কাকে কাব্য লিখতে বলেছে?
ক) পাখি ও ফুলকে খ) নদীকে গ) শিশুদের ঘ) গাছকে
৯) কবিতার মূল বার্তা কোনটি?
ক) প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ খ) শিশুদের শেখানো গ) ইতিহাস জানা ঘ) প্রযুক্তি ব্যবহার
১০) কবিতায় ঝিমধরা শহর কেমন ছিল?
ক) কাঁপছিলো থরথর খ) শান্ত গ) আলোছায়া ঘ) অন্ধকার
১১) কবিতায় ফুলকে কোন বার্তা দেওয়া হয়েছে?
ক) ফুটতে দাও খ) মরে যাও গ) কেটে নাও ঘ) বাগানে রাখো
১২) কবিতায় শিশুদের কোন কাজের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে?
ক) ছুটতে দাও খ) বসতে দাও গ) ঘুমাতে দাও ঘ) চুপচাপ থাকতে দাও
১৩) নীল আকাশের সোনালি চিলকে কবি কী করতে দিয়েছেন?
ক) মেলতে দাও খ) শিকার করতে দাও গ) ঘুমাতে দাও ঘ) উড়তে দাও না
১৪) জোনাকিরা কী করছে?
ক) আলোর খেলা খেলছে রোজ খ) গান করছে গ) উড়ছে ঘ) ঘুমাচ্ছে
১৫) কবিতায় ঘুঘুর ডাকের জন্য কোন সময় উল্লেখ করা হয়েছে?
ক) মধ্য দিন খ) সন্ধ্যা গ) সকাল ঘ) রাত
১৬) শিশুদের জন্য কবি কোন কাজ করতে দিয়েছেন?
ক) বালির ওপর আঁকতে খ) বই পড়তে গ) ঘুমাতে ঘ) রান্না করতে
১৭) কাজল বিলে পানকৌড়িকে কী করতে দেওয়া হয়েছে?
ক) নাইতে দাও খ) শিকার করতে দাও গ) খাওয়াও ঘ) ধরো না
১৮) সুজন মাঝি কোথায় নাও বাইছে?
ক) গহিন গাঙে খ) সমুদ্রের কিনারে গ) বিলের পাড়ে ঘ) পাহাড়ে
১৯) নরম রোদে শ্যামা পাখি কী করছে?
ক) নাচ জুড়েছে খ) ঘুমাচ্ছে গ) গান করছে ঘ) খাচ্ছে
২০) কবি সকলকে কী করতে বলেছেন?
ক) বাঁচতে দাও খ) কাব্য লিখতে দাও গ) স্কুলে যেতে দাও ঘ) খেলা করতে দাও
২১) কবিতায় ফুলের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কীভাবে দেখানো হয়েছে?
ক) মানব-সখা খ) শত্রু গ) পেছনের শত্রু ঘ) অবহেলা করা
২২) কবিতায় কতটি জীবজন্তু বা প্রকৃতির অংশের উল্লেখ আছে?
ক) শিশু, পাখি, ফুল, চিল, জোনাকি, ঘুঘু, পানকৌড়ি খ) শিশু, ঘুঘু, কুকুর গ) পাখি, মাছ, কচ্ছপ ঘ) ফুল, গাছ, গরু
২৩) কবিতায় নদীর জল কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে?
ক) কলকল করে কথা বলছে খ) নীরব গ) কেঁপে ওঠছে ঘ) থমথমে
২৪) কবিতার ছন্দের বৈশিষ্ট্য কী?
ক) সরল ও স্বাভাবিক খ) জটিল ও কঠিন গ) নৃত্যসংগত ঘ) বিরামহীন
২৫) কবিতায় পকেট থেকে কী খোলা হয়েছে?
ক) পদ্য লেখার ভাঁজ খ) ছবি গ) খাতা ঘ) বই
২৬) কবিতায় প্রকৃতির কোন রূপকে আনন্দের আয়োজন হিসেবে দেখানো হয়েছে?
ক) জোনাকি দরবার খ) পাহাড়ের চূড়া গ) শহর ঘ) গাছপালা
২৭) কবি কেন প্রকৃতির সঙ্গে মিশতে চেয়েছেন?
ক) নিসর্গপ্রেম ও মমত্ববোধ প্রকাশ করতে খ) খেলার জন্য গ) ছবি আঁকতে ঘ) সাইকেল চালাতে
২৮) কবিতায় শহরের অনুভূতি কীভাবে দেখানো হয়েছে?
ক) ঝিমধরা ও কাঁপছে খ) শান্তিপূর্ণ গ) ব্যস্ত ঘ) উল্লাসপূর্ণ
২৯) কবিতায় পাখি ও ফুলকে কাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?
ক) মানুষের মনোভাব খ) স্কুলের কাজ গ) খেলাধুলা ঘ) নদী
৩০) কবিতায় জোনাকি কাকে অবহিত করছে?
ক) কবিকে খ) শিশুদের গ) নদীকে ঘ) পাহাড়কে
৩১) কবিতার প্রথম চরণের মূল উপাদান কোনটি?
ক) চাঁদ খ) ফুল গ) শিশু ঘ) পাখি
৩২) কবিতায় কোনটি শিশুদের জন্য উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক) খেলা ও আঁকা খ) স্কুলের বই গ) নদী সাঁতার ঘ) পাহাড়ে ওঠা
৩৩) কবিতায় ‘কলরব’ কোন আবহ বোঝায়?
ক) কোলাহল খ) নীরবতা গ) আনন্দ ঘ) ঝড়
৩৪) কবিতায় কবি কোন জীবজন্তুর নাচ বর্ণনা করেছেন?
ক) শ্যামা পাখি খ) জোনাকি গ) চিল ঘ) পানকৌড়ি
৩৫) কবিতায় শিশুর স্বাধীনতা কোন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে?
ক) ছুটতে দিতে খ) ঘুমাতে দিতে গ) খেতে দিতে ঘ) ছবি আঁকতে দিতে
৩৬) কবিতার মাধ্যমে শিশু ও প্রকৃতির সম্পর্কের শিক্ষা কী?
ক) প্রকৃতি সকলের জন্য সমান অধিকার রাখে খ) প্রকৃতির দিকে দৃষ্টি না দেওয়া ভালো গ) শিশুদের শুধুই খেলাধুলা করা উচিত ঘ) প্রকৃতি মানুষের জন্য নয়
৩৭) কবিতার কোন অংশে নদীর পানি কলকল করে কথা বলছে?
ক) জোনাকিদের দরবারে এসে খ) পাহাড়ে উঠতে গিয়ে গ) শহরে ঝিমধরা সময়ে ঘ) শিশুর খেলার সময়
৩৮) কবিতায় কবির দৃষ্টিতে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কেমন?
ক) আত্মীয়, সখা খ) শত্রু গ) অচেনা ঘ) বিরোধী
৩৯) কবিতার কোন অংশে শিশুর স্বাধীনতা ও আনন্দ ফুটে উঠেছে?
ক) বালকের ছুটতে দেওয়া খ) পাহাড়ে ওঠা গ) নদী সাঁতার ঘ) জোনাকির দরবার
৪০) কবিতায় ফুল ও পাখি কাকে মনের কথা বলছে?
ক) কবিকে খ) শিশুকে গ) নদীকে ঘ) পাহাড়কে
৪১) কবিতায় কবি কোন ঋতুর প্রভাব উল্লেখ করেছেন?
ক) বসন্ত খ) বর্ষা গ) গ্রীষ্ম ঘ) শীত
৪২) কবিতায় কবির নৈসর্গিক দৃষ্টি কোনটি?
ক) প্রকৃতিকে মমত্ব ও সৌন্দর্য দৃষ্টি দিয়ে দেখানো খ) শহরের দিকে মনোযোগ গ) খেলাধুলায় মনোযোগ ঘ) ঘরের আলোর দিকে মনোযোগ
৪৩) কবিতায় ‘পদ্য লেখার ভাঁজ’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
ক) কবিতা লেখা কাগজ খ) ছবি গ) গল্পের বই ঘ) পাখির নোট
৪৪) কবিতায় শিশুর সঙ্গে প্রকৃতির সংলাপ কোথায় ফুটে উঠেছে?
ক) নদীর কলকল, জোনাকি দরবার ও ফুল-পাখি খ) পাহাড়ের শীর্ষে গ) শহরের মধ্য দিয়ে ঘ) ঘরের ভেতরে
৪৫) কবিতায় ছন্দের সৌন্দর্য কোন দিকে বেশি মনোযোগী?
ক) সরল ও প্রাকৃতিক খ) জটিল ও কঠিন গ) শিল্পীসুলভ ঘ) রচনাশৈলী
৪৬) কবিতায় জোনাকি কোন সময় আলো জ্বালাচ্ছে?
ক) সন্ধ্যা খ) সকাল গ) দুপুর ঘ) রাত
৪৭) কবিতায় কবির প্রকৃতির প্রতি আহ্বান কী?
ক) প্রকৃতিকে উপলব্ধি কর ও মমত্ব দেখাও খ) শিকার করো গ) ঘুমাও ঘ) দূরে থেকো
৪৮) কবিতায় কবি শিশুর বিকাশের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক কীভাবে দেখিয়েছেন?
ক) শিশু প্রকৃতির সঙ্গে মিশে আনন্দ অনুভব করে খ) শিশু খেলাধুলা না করলে বিকাশ হয় না গ) শিশু শুধুই বই পড়লে বিকাশ হয় ঘ) শিশু স্কুলে গেলে বিকাশ হয়
৪৯) কবিতায় শিশুর স্বাধীনতা কোন বার্তায় প্রকাশ পেয়েছে?
ক) ফুটতে দাও, ছুটতে দাও, নাচতে দাও খ) ঘুমাতে দাও গ) খাবার খেতে দাও ঘ) ছবি আঁকতে দাও
৫০) কবিতার প্রধান শিক্ষা কী?
ক) প্রকৃতিকে সম্মান ও আদর করা এবং সকল জীবের অধিকার রক্ষা করা খ) শহরে সুন্দর জীবন যাপন করা গ) স্কুলে মনোনিবেশ করা ঘ) খেলাধুলা করা
নিচে উত্তরসহ পিডিএফ দেয়া হলো, এই বাটন থেকে ডাউনলোড করুন।
উপসংহার
‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কবিতার মূল বার্তা হলো, প্রকৃতি কেবল আমাদের আনন্দের উৎস নয়; এটি আমাদের মনের অঙ্গীকার ও সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করে। আল মাহমুদের কবিতার মাধ্যমে আমরা শিখি, প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যত্ন ও সম্মানের সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। প্রকৃতিকে অনুভব ও আদর করার মধ্য দিয়ে শিশুর বিকাশ, সৃজনশীলতা এবং জীবন-উপভোগের আনন্দ আরও সমৃদ্ধ হয়।