জেনে নিন টীকা কিভাবে লিখতে হয়

Navoblog
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

টীকা কিভাবে লিখতে হয়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাধারণত যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা একাডেমিক পরীক্ষায় যদি আপনি অংশগ্রহণ করেতে চান তাহলে অবশ্যই টীকা কিভাবে লিখতে হয় সেটা জানা থাকা উচিত। যেহেতু পরীক্ষার এই পার্টের খুব বেশি নম্বর দেওয়া হয় না তাই অত্যন্ত সতর্কতার সহিত সুন্দর করে বাক্য গঠন করে এটি লেখা উচিত। আর তার জন্য অবশ্যই রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম যে সম্পর্কে আমি আজকে আলোচনা করব। তাই যারা জানেন না তারা পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি যদি ধৈর্য সহকারে লেখাটি পড়েন এবং জেনে নিন টিকা কিভাবে লিখতে হয় তাহলে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেতে পারবেন। তাই যাদের ইচ্ছা রয়েছে চাকরি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার কিংবা একাডেমির পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা তাদের অবশ্যই নিচের উল্লেখিত নিয়মাবলী ভালোভাবে বুঝতে হবে।

এর কারণ হচ্ছে একাডেমিক পরীক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের চাকরি পরীক্ষায় ৫ কিংবা ১০ মার্কের জন্য এটি এসে থাকে। আর আপনি নিশ্চয়ই জানেন এ ধরনের এক্সামে সামান্য কয়েকটি নাম্বার চান্স পাওয়া না পাওয়া নির্ধারণ করে দেয়। আপনি যদি জানেন কিভাবে এবং সুন্দরভাবে এটি লিখতে হয় তাহলে অবশ্যই ভালো নাম্বার উত্তোলন করা সম্ভব।

টীকা আসলে কি

আপনি স্কুলের পরীক্ষা গুলোতে নিশ্চয়ই রচনা এবং ভাব সম্প্রসারণ লিখেছেন। ভাব সম্প্রসারণের আকারে কিছুটা ছোট হয়ে থাকে এবং রচনা সবচাইতে বড় হয়ে থাকে। কোন একটি নির্দিষ্ট লাইন কবিতার অংশ উক্তি ইত্যাদির কে সম্প্রসারিত করে লেখাই হচ্ছে ভাব সম্প্রসারণ। এর সাথে অবশ্য টীকা লেখার নিয়ম বা টীকা কিভাবে লিখতে হয় তার বেশ কিছুটা মিল রয়েছে। আবার রচনা হচ্ছে কোন বিষয়ে সবিস্তার বর্ণনা। অর্থাৎ খুঁটিনাটির সব কিছুই বর্ণনা করে লিখতে হয়। টিকা অনেকটাই রচনা ছোট রূপ অনেকটা ভাব সম্প্রসারণ এর মত। অর্থাৎ কোন একটি বিষয় সম্পর্কে আপনাকে মোটামুটি ধারণা দিয়ে লিখতে হবে। চাকুরী পরীক্ষায় বিগত সালের লিখিত প্রশ্নগুলোতে এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছে।

কিভাবে টীকা লিখতে হয়

উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনাকে পদ্মা সেতুর সম্পর্কে একটি টীকা লিখতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণের তারিখ, বাজেট, বাস্তবায়ন, খরচের হিসাব, কোন প্রতিষ্ঠান দ্বারা এটি তৈরি করা হয়েছে, কেমন সময় লেগেছে, উদ্বোধন, বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি তথ্য বলে অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে। মনে রাখবেন টীকা লেখার নিয়মে আপনি যত বেশি তথ্য উপস্থাপন করবেন আপনার নাম্বার পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে।

তবে শুধু তথ্য উপস্থাপন করলেই হবে না বরং সেগুলো ধাপে ধাপে সাজিয়ে লিখতে হবে। আপনি যদি এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বিষয় আগে লিখেন তাহলে এটি পড়তে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে। আপনাকে আগে লিখতে হবে ভূমিকা অর্থাৎ এর শুরুর দিকগুলোই। তারপর ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য তথ্য আপনি উপস্থাপন করতে পারবেন। আর পদ্মা সেতুর সম্পর্কে তথ্য যদি আপনার আগে থেকেই জানা থাকতে হবে। এ সম্পর্কিত যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে কিংবা ইনফরমেশনের দরকার হয় তাহলে আমাদেরকে আপনি নক দিতে পারেন। আমরা রচনা আকারে সেগুলো চেষ্টা করব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।

চাকুরী পরীক্ষায় টিকা কত শব্দের লিখতে হয়

আমি আগেই বলেছি ইংরেজিতে প্যারাগ্রাফ কিংবা বাংলার ভাব সম্প্রসারণ আর টিকা মোটামুটি একই ধরনের। ধরুন আপনাকে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগত সম্পর্কে একটি টীকা লিখতে বলা হয়েছে। আপনি যদি প্রাইসটা জেনে থাকেন তাহলে সেটির বাংলা অনুবাদ করে দিলে আপনার উত্তর হয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই প্যারা আকারে এবং শুরুতে ভূমিকা এবং শেষে উপসংহার রাখা উচিত। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন টিকা কিভাবে লিখতে হয়। তবে এটি কত শব্দের হবে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা যাবে না। প্রশ্নের উত্তরের জন্য কত মার্কস দেওয়া রয়েছে সেটির উপর নির্ভর করবে কতটা বড় বা কতটা ছোট হবে। যদি ১০ নম্বর থাকে তাহলে মোটামুটি বড় আকারের লেখাই উচিত। আর যদি ৫ নম্বর থাকে তাহলে একটি প্যারাগ্রাফ বা ভাব সম্প্রসারণের মত ছোট করে লিখলে ভালো নম্বর পাবেন।

আমার শেষ কথা

টীকা লেখার নিয়ম বা টিকা কিভাবে লিখতে হয় সেটি এখন আপনারা জেনেছেন। তবে সব সময় বাংলা লেখার ক্ষেত্রে শুদ্ধ বানান সুন্দর বাক্য তথ্যবহুল এবং সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা অনুসরণ করবেন। অনেক সময় উত্তরকে বড় করার জন্য একই বিষয় বারবার লিখে কিংবা একটি ছোট বিষয়কে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বড় করার চেষ্টা করি। এ ধরনের উপস্থাপনা নম্বর কমিয়ে দিতে পারে। যখন আপনি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিবেন তখন মূল পার্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ চিহ্নিত করুন। এর কারণ হচ্ছে পরীক্ষক অবশ্যই খেয়াল করবে যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য বাদ দিয়েছেন কিনা। চাকরি কিংবা স্কুল কলেজের পরীক্ষার জন্য গল্প, কবিতা, নাটকের প্রধান চরিত্র বিশ্লেষণ গুলো ভালোভাবে পড়লেই টিকা গুলি লিখতে পারবেন। সেই সাথে কঠিন বানানগুলো খেয়াল রাখা উচিত।

আশা করি প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা বুঝতে পেরেছ টীকা লেখার নিয়ম এবং কিভাবে টীকা লিখতে হয়। তাই উপরে পয়েন্টগুলো অনুসরণ করে আজ থেকেই নতুন অনুশীলন শুরু কর এবং পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাও।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জেনে নিন টীকা কিভাবে লিখতে হয়

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

সাধারণত যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা একাডেমিক পরীক্ষায় যদি আপনি অংশগ্রহণ করেতে চান তাহলে অবশ্যই টীকা কিভাবে লিখতে হয় সেটা জানা থাকা উচিত। যেহেতু পরীক্ষার এই পার্টের খুব বেশি নম্বর দেওয়া হয় না তাই অত্যন্ত সতর্কতার সহিত সুন্দর করে বাক্য গঠন করে এটি লেখা উচিত। আর তার জন্য অবশ্যই রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম যে সম্পর্কে আমি আজকে আলোচনা করব। তাই যারা জানেন না তারা পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি যদি ধৈর্য সহকারে লেখাটি পড়েন এবং জেনে নিন টিকা কিভাবে লিখতে হয় তাহলে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেতে পারবেন। তাই যাদের ইচ্ছা রয়েছে চাকরি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার কিংবা একাডেমির পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা তাদের অবশ্যই নিচের উল্লেখিত নিয়মাবলী ভালোভাবে বুঝতে হবে।

এর কারণ হচ্ছে একাডেমিক পরীক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের চাকরি পরীক্ষায় ৫ কিংবা ১০ মার্কের জন্য এটি এসে থাকে। আর আপনি নিশ্চয়ই জানেন এ ধরনের এক্সামে সামান্য কয়েকটি নাম্বার চান্স পাওয়া না পাওয়া নির্ধারণ করে দেয়। আপনি যদি জানেন কিভাবে এবং সুন্দরভাবে এটি লিখতে হয় তাহলে অবশ্যই ভালো নাম্বার উত্তোলন করা সম্ভব।

টীকা আসলে কি

আপনি স্কুলের পরীক্ষা গুলোতে নিশ্চয়ই রচনা এবং ভাব সম্প্রসারণ লিখেছেন। ভাব সম্প্রসারণের আকারে কিছুটা ছোট হয়ে থাকে এবং রচনা সবচাইতে বড় হয়ে থাকে। কোন একটি নির্দিষ্ট লাইন কবিতার অংশ উক্তি ইত্যাদির কে সম্প্রসারিত করে লেখাই হচ্ছে ভাব সম্প্রসারণ। এর সাথে অবশ্য টীকা লেখার নিয়ম বা টীকা কিভাবে লিখতে হয় তার বেশ কিছুটা মিল রয়েছে। আবার রচনা হচ্ছে কোন বিষয়ে সবিস্তার বর্ণনা। অর্থাৎ খুঁটিনাটির সব কিছুই বর্ণনা করে লিখতে হয়। টিকা অনেকটাই রচনা ছোট রূপ অনেকটা ভাব সম্প্রসারণ এর মত। অর্থাৎ কোন একটি বিষয় সম্পর্কে আপনাকে মোটামুটি ধারণা দিয়ে লিখতে হবে। চাকুরী পরীক্ষায় বিগত সালের লিখিত প্রশ্নগুলোতে এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছে।

কিভাবে টীকা লিখতে হয়

উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনাকে পদ্মা সেতুর সম্পর্কে একটি টীকা লিখতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণের তারিখ, বাজেট, বাস্তবায়ন, খরচের হিসাব, কোন প্রতিষ্ঠান দ্বারা এটি তৈরি করা হয়েছে, কেমন সময় লেগেছে, উদ্বোধন, বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি তথ্য বলে অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে। মনে রাখবেন টীকা লেখার নিয়মে আপনি যত বেশি তথ্য উপস্থাপন করবেন আপনার নাম্বার পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে।

তবে শুধু তথ্য উপস্থাপন করলেই হবে না বরং সেগুলো ধাপে ধাপে সাজিয়ে লিখতে হবে। আপনি যদি এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বিষয় আগে লিখেন তাহলে এটি পড়তে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে। আপনাকে আগে লিখতে হবে ভূমিকা অর্থাৎ এর শুরুর দিকগুলোই। তারপর ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য তথ্য আপনি উপস্থাপন করতে পারবেন। আর পদ্মা সেতুর সম্পর্কে তথ্য যদি আপনার আগে থেকেই জানা থাকতে হবে। এ সম্পর্কিত যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে কিংবা ইনফরমেশনের দরকার হয় তাহলে আমাদেরকে আপনি নক দিতে পারেন। আমরা রচনা আকারে সেগুলো চেষ্টা করব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।

চাকুরী পরীক্ষায় টিকা কত শব্দের লিখতে হয়

আমি আগেই বলেছি ইংরেজিতে প্যারাগ্রাফ কিংবা বাংলার ভাব সম্প্রসারণ আর টিকা মোটামুটি একই ধরনের। ধরুন আপনাকে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগত সম্পর্কে একটি টীকা লিখতে বলা হয়েছে। আপনি যদি প্রাইসটা জেনে থাকেন তাহলে সেটির বাংলা অনুবাদ করে দিলে আপনার উত্তর হয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই প্যারা আকারে এবং শুরুতে ভূমিকা এবং শেষে উপসংহার রাখা উচিত। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন টিকা কিভাবে লিখতে হয়। তবে এটি কত শব্দের হবে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা যাবে না। প্রশ্নের উত্তরের জন্য কত মার্কস দেওয়া রয়েছে সেটির উপর নির্ভর করবে কতটা বড় বা কতটা ছোট হবে। যদি ১০ নম্বর থাকে তাহলে মোটামুটি বড় আকারের লেখাই উচিত। আর যদি ৫ নম্বর থাকে তাহলে একটি প্যারাগ্রাফ বা ভাব সম্প্রসারণের মত ছোট করে লিখলে ভালো নম্বর পাবেন।

আমার শেষ কথা

টীকা লেখার নিয়ম বা টিকা কিভাবে লিখতে হয় সেটি এখন আপনারা জেনেছেন। তবে সব সময় বাংলা লেখার ক্ষেত্রে শুদ্ধ বানান সুন্দর বাক্য তথ্যবহুল এবং সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা অনুসরণ করবেন। অনেক সময় উত্তরকে বড় করার জন্য একই বিষয় বারবার লিখে কিংবা একটি ছোট বিষয়কে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বড় করার চেষ্টা করি। এ ধরনের উপস্থাপনা নম্বর কমিয়ে দিতে পারে। যখন আপনি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিবেন তখন মূল পার্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ চিহ্নিত করুন। এর কারণ হচ্ছে পরীক্ষক অবশ্যই খেয়াল করবে যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য বাদ দিয়েছেন কিনা। চাকরি কিংবা স্কুল কলেজের পরীক্ষার জন্য গল্প, কবিতা, নাটকের প্রধান চরিত্র বিশ্লেষণ গুলো ভালোভাবে পড়লেই টিকা গুলি লিখতে পারবেন। সেই সাথে কঠিন বানানগুলো খেয়াল রাখা উচিত।

আশা করি প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা বুঝতে পেরেছ টীকা লেখার নিয়ম এবং কিভাবে টীকা লিখতে হয়। তাই উপরে পয়েন্টগুলো অনুসরণ করে আজ থেকেই নতুন অনুশীলন শুরু কর এবং পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাও।