বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে আমাদের লোকশিল্প। “আমাদের লোকশিল্প” প্রবন্ধটি কামরুল হাসানের লেখা এবং এটি ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রবন্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন লোকশিল্পের বিবরণ দেওয়া হয়েছে, যা আমাদের দেশের গ্রামীণ ও শহুরে জীবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। এখানে উল্লিখিত শিল্পগুলোর মধ্যে ঢাকাই মসলিন, জামদানি শাড়ি, নকশিকাঁথা, খাদি কাপড়, বাঁশ ও কাঠের কারুশিল্প, মাটির তৈজসপত্র এবং পুতুল শিল্প অন্যতম। আমাদের লোকশিল্প বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (৭০+ MCQ উত্তরসহ), শিক্ষার্থীদের মধ্যে লোকশিল্পের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করবে এবং তাদের জ্ঞানকে সুদৃঢ় করবে। প্রবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যবহুল নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের গুরুত্ব বোঝাতে সহায়ক।
বাংলাদেশের লোকশিল্পের ইতিহাস প্রায় সকল অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে। ঢাকাই মসলিন এবং জামদানি শাড়ির মতো শিল্পের সূক্ষ্মতা, নকশিকাঁথার গল্পবহুল সেলাই, খাদি কাপড়ের হস্তচালিত প্রস্তুতি, বাঁশ ও কাঠের ব্যবহার, মাটির তৈজসপত্রের নান্দনিক নকশা—এগুলো একত্রে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের চিহ্ন। এই শিল্পগুলো শুধুমাত্র গ্রামীণ জীবনের প্রয়োজন মেটাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং সৌন্দর্য, কারিগরি দক্ষতা এবং সমাজের গল্পও এতে ফুটে উঠেছে।
এই প্রবন্ধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে কিভাবে বাংলাদেশের লোকশিল্প বিভিন্ন আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করেছে, কিভাবে প্রতিটি শিল্প কর্মীর ব্যক্তিত্ব ও সৃজনশীলতা প্রতিফলিত হয়, এবং কেন এই শিল্পগুলো সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ আমাদের সকলের দায়িত্ব।
নিচে উত্তরসহ পিডিএফ দেয়া হলো, এই বাটন থেকে ডাউনলোড করুন।
উপসংহার
আমাদের লোকশিল্প শুধু গ্রামীণ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জীবনধারার জীবন্ত প্রমাণ। প্রতিটি শিল্পের পেছনে লুকানো কারিগরের শ্রম, দক্ষতা ও সৃজনশীলতা আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা যারা এই শিল্পের স্বাক্ষী, আমাদের কর্তব্য হলো এগুলো সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মকে এগুলো পরিচয় করানো। শিক্ষার্থীদের জন্য “আমাদের লোকশিল্প” প্রবন্ধ শুধুমাত্র পাঠ্য নয়, এটি দেশের প্রতি ভালোবাসা, শিল্পের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধির এক অনন্য মাধ্যম।


