২০২৫ সালে বাংলাদেশ পাইলট হওয়ার খরচ কত টাকা জেনে নিন

Navoblog
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে পাইলট হওয়ার খরচ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তরুণ বয়সে যত স্বপ্ন থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে উড়োজাহাজ চালানোর। তাইতো আমি আজকে হাজির হয়েছি ২০২৫ সালে বাংলাদেশের পাইলট হওয়ার খরচ কত টাকা সেই টপিক নিয়ে। যুবক বয়সে প্রত্যেকেরই চ্যালেঞ্জিং পেশা গুলোই সবচাইতে বেশি জানায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনীর সহ নানা ধরনের রোমাঞ্চকর সব পেশা। তবে অন্যান্য সাধারণ চাকুরীর তুলনায় এই সকল জব গুলোতে দরকার হয় কিছু বাড়তি যোগ্যতার। তাইতো সঠিক প্রস্তুতির লক্ষ্যে বাংলাদেশের পাইলট হওয়ার খরচ সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্যগুলো উপস্থাপন করব। এতে করে আগে থেকেই প্রিপারেশন নিয়ে থাকলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা একদম কমে যাবে।

পাইলট আসলে কি কাজ করে থাকে

রাস্তাঘাটে যেকোনো ধরনের যানবাহন চালানোর জন্য একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি থাকে। যাকে আমরা ড্রাইভার বলে সম্বোধন করি। বাস, ট্রাক, রিক্সা, অটোরিকশা, ট্রেন সকল যানেরই একজন নিয়ন্ত্রক প্রয়োজন হয়। যেমন জাহাজ চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় একজন নাবিকের। ঠিক তেমনিভাবে উড়োজাহাজ চালানোর জন্য যে ব্যক্তি দায়িত্ব থাকেন তাদেরকে বলা হয় পাইলট। যাত্রীবাহী বিমানে সাধারণত তিন জন করে পাইলট থাকেন। মূল পাইলটের সাথে কো পাইলটও সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে থাকেন। যেহেতু এটি আকাশ পথে চালানো হয় তাই অত্যন্ত সতর্কতা ও বাড়তি দক্ষতার দরকার হয়। সেই সাথে প্রয়োজন হয় বিশেষ প্রশিক্ষণের।

আবার যাত্রীবাহী বিমান ছাড়াও কারোগো বিমান, প্রাইভেট জেড বিমান যেগুলো সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারের কাজে, হেলিকপ্টার ইত্যাদি চালানোর জন্য আলাদা আলাদা ভাবে পাইলট নিয়োগ দেয়া হয়।

কিভাবে পাইলট হওয়া যায়

বাংলাদেশে পাইলট হওয়ার খরচ জানার আগে এটা জানা জরুরি যে কিভাবে এই ক্যারিয়ারে প্রবেশ করা যায়। বেসরকারিভাবে দেশে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা পাইলট লাইসেন্স প্রদান করে থাকে। এ সকল লাইসেন্সের আবার বেশ কয়েকটি প্রকারও রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে

• স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স বা এসপিএল।
• প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স বা পিপিএল।
• কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স বা সিপিএল।
• ট্রান্সপোর্ট পাইলট লাইসেন্স বা টিপিএল।

আপনি একসাথে সবগুলো কোর্স করতে পারবেন না। আপনাকে ধাপে ধাপে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে। প্রতিটি সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ একাডেমিক স্টাডি সেই সাথে ন্যূনতম বিমান চালানোর অভিজ্ঞতাও থাকতে হয়। আপনি নিশ্চয়ই জানেন সরকারি পাইলটের পাশাপাশি প্রাইভেট এয়ারলাইন্স, ব্যক্তিগত জেড বিমান, কমার্শিয়াল বিমানগুলোর জন্য আলাদা পাইলট রিক্রুট করা হয়। তবে ধরুন যাই হোক না কেন ক্যারিয়ারের পথ অনেকটা একই রকম।

ভর্তি হওয়ার জন্য অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট জিপিএর পাশাপাশি এসএসসি এবং এইচএসসি অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে।

বাংলাদেশের পাইলট হওয়ার খরচ কত টাকা

কোন শিক্ষার্থী বা প্রার্থী যদি বেসরকারিভাবে পাইলটের ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ নিতে চান তাহলে তাত্ত্বিক কোর্সের জন্য খরচ পূর্বে ৬০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে প্রতি ঘন্টা ফ্লাইট এর জন্য আরও খরচ করতে হবে ১২০০০ টাকা করে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় অবশ্যই ১৫০ ঘন্টা ফ্লাইং সম্পূর্ণ করতে হবে। তা নাহলে প্রাথমিক লাইসেন্স পাওয়া যাবে না। এখানে বয়সের ও নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণত ২৭ বছর বয়স পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। উপরে উল্লেখিত খরচ গুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু খরচ রয়েছে। সব মিলে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। তাই যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েই এ ধরনের করছে যোগদান করা উচিত তা না হলে টাকার জন্য রেল টাইম ফ্লাইং অনেক সময় আটকে যেতে পারে।

তবে যাদের সামর্থ্য আছে কিংবা যথেষ্ট ফিন্যান্সিয়াল সাপোর্ট রয়েছে তারা অনেকে দেশের বাইরে হতেও এ ধরনের কোর্সগুলো সম্পন্ন করে আসে। প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোতে উচ্চ বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে। তার পাশাপাশি বাংলাদেশের চাকরির বাজারে এটি স্মার্ট একটি পেশা। যার কারণেই তরুণদের প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি দেখা দেয়।

এজন্য আপনি বাংলাদেশের ফ্লাইং একাডেমিক এন্ড জেনারেল এভিয়েশন লিমিটেড এ যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমী যেটি অবস্থিত উত্তরা মডেল টাউনে।

আবার যারা কেনার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ফ্লাইং কোর্সের যোগদান করেন তারা মোটামুটি বিনা খরচাই একজন পাইলট হতে পারেন। এর জন্য অবশ্যই এসএসসি ও এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের নিয়োগ পরীক্ষায় টিকতে হবে। এ ধরনের কমিশন্ড অফিসার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আইএসএসবি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। সবশেষে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেয়ে গেলে আপনি সরকারিভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন পাইলট হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারবেন। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশে পাইলট হওয়ার খরচ আপনারা ইতিমধ্যে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

২০২৫ সালে বাংলাদেশ পাইলট হওয়ার খরচ কত টাকা জেনে নিন

আপডেট সময় : ০৪:১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

তরুণ বয়সে যত স্বপ্ন থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে উড়োজাহাজ চালানোর। তাইতো আমি আজকে হাজির হয়েছি ২০২৫ সালে বাংলাদেশের পাইলট হওয়ার খরচ কত টাকা সেই টপিক নিয়ে। যুবক বয়সে প্রত্যেকেরই চ্যালেঞ্জিং পেশা গুলোই সবচাইতে বেশি জানায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনীর সহ নানা ধরনের রোমাঞ্চকর সব পেশা। তবে অন্যান্য সাধারণ চাকুরীর তুলনায় এই সকল জব গুলোতে দরকার হয় কিছু বাড়তি যোগ্যতার। তাইতো সঠিক প্রস্তুতির লক্ষ্যে বাংলাদেশের পাইলট হওয়ার খরচ সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্যগুলো উপস্থাপন করব। এতে করে আগে থেকেই প্রিপারেশন নিয়ে থাকলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা একদম কমে যাবে।

পাইলট আসলে কি কাজ করে থাকে

রাস্তাঘাটে যেকোনো ধরনের যানবাহন চালানোর জন্য একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি থাকে। যাকে আমরা ড্রাইভার বলে সম্বোধন করি। বাস, ট্রাক, রিক্সা, অটোরিকশা, ট্রেন সকল যানেরই একজন নিয়ন্ত্রক প্রয়োজন হয়। যেমন জাহাজ চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় একজন নাবিকের। ঠিক তেমনিভাবে উড়োজাহাজ চালানোর জন্য যে ব্যক্তি দায়িত্ব থাকেন তাদেরকে বলা হয় পাইলট। যাত্রীবাহী বিমানে সাধারণত তিন জন করে পাইলট থাকেন। মূল পাইলটের সাথে কো পাইলটও সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে থাকেন। যেহেতু এটি আকাশ পথে চালানো হয় তাই অত্যন্ত সতর্কতা ও বাড়তি দক্ষতার দরকার হয়। সেই সাথে প্রয়োজন হয় বিশেষ প্রশিক্ষণের।

আবার যাত্রীবাহী বিমান ছাড়াও কারোগো বিমান, প্রাইভেট জেড বিমান যেগুলো সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারের কাজে, হেলিকপ্টার ইত্যাদি চালানোর জন্য আলাদা আলাদা ভাবে পাইলট নিয়োগ দেয়া হয়।

কিভাবে পাইলট হওয়া যায়

বাংলাদেশে পাইলট হওয়ার খরচ জানার আগে এটা জানা জরুরি যে কিভাবে এই ক্যারিয়ারে প্রবেশ করা যায়। বেসরকারিভাবে দেশে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা পাইলট লাইসেন্স প্রদান করে থাকে। এ সকল লাইসেন্সের আবার বেশ কয়েকটি প্রকারও রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে

• স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স বা এসপিএল।
• প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স বা পিপিএল।
• কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স বা সিপিএল।
• ট্রান্সপোর্ট পাইলট লাইসেন্স বা টিপিএল।

আপনি একসাথে সবগুলো কোর্স করতে পারবেন না। আপনাকে ধাপে ধাপে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে। প্রতিটি সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ একাডেমিক স্টাডি সেই সাথে ন্যূনতম বিমান চালানোর অভিজ্ঞতাও থাকতে হয়। আপনি নিশ্চয়ই জানেন সরকারি পাইলটের পাশাপাশি প্রাইভেট এয়ারলাইন্স, ব্যক্তিগত জেড বিমান, কমার্শিয়াল বিমানগুলোর জন্য আলাদা পাইলট রিক্রুট করা হয়। তবে ধরুন যাই হোক না কেন ক্যারিয়ারের পথ অনেকটা একই রকম।

ভর্তি হওয়ার জন্য অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট জিপিএর পাশাপাশি এসএসসি এবং এইচএসসি অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে।

বাংলাদেশের পাইলট হওয়ার খরচ কত টাকা

কোন শিক্ষার্থী বা প্রার্থী যদি বেসরকারিভাবে পাইলটের ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ নিতে চান তাহলে তাত্ত্বিক কোর্সের জন্য খরচ পূর্বে ৬০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে প্রতি ঘন্টা ফ্লাইট এর জন্য আরও খরচ করতে হবে ১২০০০ টাকা করে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় অবশ্যই ১৫০ ঘন্টা ফ্লাইং সম্পূর্ণ করতে হবে। তা নাহলে প্রাথমিক লাইসেন্স পাওয়া যাবে না। এখানে বয়সের ও নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণত ২৭ বছর বয়স পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। উপরে উল্লেখিত খরচ গুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু খরচ রয়েছে। সব মিলে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। তাই যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েই এ ধরনের করছে যোগদান করা উচিত তা না হলে টাকার জন্য রেল টাইম ফ্লাইং অনেক সময় আটকে যেতে পারে।

তবে যাদের সামর্থ্য আছে কিংবা যথেষ্ট ফিন্যান্সিয়াল সাপোর্ট রয়েছে তারা অনেকে দেশের বাইরে হতেও এ ধরনের কোর্সগুলো সম্পন্ন করে আসে। প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোতে উচ্চ বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে। তার পাশাপাশি বাংলাদেশের চাকরির বাজারে এটি স্মার্ট একটি পেশা। যার কারণেই তরুণদের প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি দেখা দেয়।

এজন্য আপনি বাংলাদেশের ফ্লাইং একাডেমিক এন্ড জেনারেল এভিয়েশন লিমিটেড এ যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমী যেটি অবস্থিত উত্তরা মডেল টাউনে।

আবার যারা কেনার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ফ্লাইং কোর্সের যোগদান করেন তারা মোটামুটি বিনা খরচাই একজন পাইলট হতে পারেন। এর জন্য অবশ্যই এসএসসি ও এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের নিয়োগ পরীক্ষায় টিকতে হবে। এ ধরনের কমিশন্ড অফিসার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আইএসএসবি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। সবশেষে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেয়ে গেলে আপনি সরকারিভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন পাইলট হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারবেন। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশে পাইলট হওয়ার খরচ আপনারা ইতিমধ্যে জানান।